মসলা গবেষণা কেন্দ্রটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত স্থায়ী প্রকৃতির একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধীনে ৭টি কেন্দ্রের মধ্যে একটি স্বতন্ত্র অন্যতম কেন্দ্র। এই কেনন্দ্রটি বগুড়া শহর হতে প্রায় ১৮ কি. মি. উত্তরে ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়ের পার্শ্বে শিবগঞ্জ, উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নে অবস্থিত, যার ভৌগলিক অবস্থান: অক্ষাংশ- ২৪.৯৭০ ও দ্রাঘিমাংশ-৮৯.৩৩০। কেন্দ্রের মোট আয়তন ২৭.৬৯ হেক্টর। ১৯৯৬ সাল হতে মসলা ফসলের উপর গবেষণা কার্যক্রম শুরম্ন হয়। কেন্দ্র প্রধানের পদবী: মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (জাতীয় বেতন স্কেলের ৩য় গ্রেড)। অত্র কেন্দ্রের ৭টি ডিসিপিস্নন (উদ্ভিদ প্রজনন, কৃষিতত্ত্ব, কীটতত্ত্ব, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব, মৃত্তিকা ও পানি সেচ ব্যবস্থাপনা, কৃষি প্রকৌশল ও ফসল সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা এবং কৃষি অর্থনীতি ও আর্থ সামাজিক ব্যবস্থাপনা) নিয়ে গঠিত, যা দিয়ে বিভিন্ন ফসল উৎপাদন, ফিজিওলজি, ব্রিডিং পদ্ধতি, জৈব প্রযুক্তি, উদ্ভিদ পুষ্টি, সেচ, আন্ত পরিচর্যা, বীজ উৎপাদন, রোগ ও পোকামাকড় দমন, শস্য সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা ও আর্থ-সামাজিক, বাজারজাতকরণ ও ভেলু চেইন, কৃষক পর্যায়ে গবেষণার প্রভাব যাচাই ইত্যাদি বিষয়ের উপর গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয় এবং গবেষণা ফলাফল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর মাধ্যমে কৃষকের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। অত্র কেন্দ্রের ৩ (তিন) টি আঞ্চলিক কেন্দ্র (গাজীপুর, মাগুরা ও কুমিল্লা) এবং ৫ (পাঁচ) টি উপ-কেন্দ্র (লালমনিরহাট, ফরিদপুর, সিলেট, মৌলভীবাজার ও খাগড়াছাড়ি) রয়েছে। বর্তমানে মসলা গবেষণা কেন্দ্রে প্রায় ৪৭ (সাতচল্লিশ) টি দেশি বিদেশী মসলা ফসলের উপর গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। মসলা গবেষণা কেন্দ্র কর্তৃক ২৭টি মসলা জাতীয় ফসলের উপর এ পর্যন্ত সর্বমোট ৫৭টি জাত এবং বিভিন্ন ধরণের টেকশই প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে।
বিস্তারিতঃhttp://www.bari.gov.bd.com https://www.facebook.com/spices.centre.7
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস